হাজারো কণ্ঠে শপথের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলাকে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত’ উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে থানা ভবন প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে এবং শিক্ষা কর্মকর্তা সৌরভ পাল মিঠুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবল রাখতে আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। বাল্য বিবাহের কারণে আমাদের সমাজে রোগাক্রান্ত ও দুর্বল শিশুর জন্ম হয়। তাই বাল্য বিবাহ হচ্ছে অন্ধকার জগতের কাজ। সেই অন্ধকার যদি আবার দেখা দেয় আপনারা প্রদীপ হয়ে তা প্রতিহত করে সমাজকে আলোকিত করবেন। যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো নেই তারাই বাল্যবিবাহ করে। সুন্দর ও স্বাভাবিক সমাজ থেকে তারা অনেক দুরে থাকে।
এরপর তিনি হাজারো কণ্ঠে শপথ বাক্য পাঠ করানোর মাধ্যমে ওসমানীনগরকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন ও পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাবেক সভাপতি কবির উদ্দিন আহমদ, প্লান বাংলাদেশের সিলেটের আঞ্চলিক অফিসার জিয়াউর রহমান, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী, উসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল আজাদ ফারুক, গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মুকিত আজাদ, শেখ ফজিলাতুননেছা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলাম, সিলেট জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী রফিক আহমদ, পুরোহিত নির্মল কান্তি গোস্বামী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী আব্দুর রব এবং গীতা পাঠ করেন কৃষ দেবনাথ মোহন। সমাবেশে বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশেন উপস্থাপন করেন সহকারী ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার লাকী।
বক্তারা বলেন, সমাজকে বাল্য বিবাহের অভিশাপমুক্ত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বাল্য বিবাহ নামক সামাজিক ব্যাধি দুর করতে না পারলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস